আবাস যোজনার টাকা এখনো যারা পায়নি কবে পাবে? Awas Yojana Payment Update:
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাংলা আবাস যোজনায় (Banglar Awas Yojana) রাজ্যের ১২ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে গেল প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা।
একই সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে আরও একটি বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাকি যে ১৬ লক্ষের বাড়ি বাকি রইল, সেটাও ২০২৬ সালের আগে আমরা দু’দফায় করে দেব। আগামী বছরের মে-জুন মাসে প্রথম ৮ লক্ষ এবং ডিসেম্বরে বাকি ৮ লক্ষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য।
এদিন বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে একথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আবাসে ১ নম্বর থাকা সত্ত্বেও গত ৩ বছর ধরে কেন্দ্র টাকা দেয়নি, বাংলার গরিব মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই আমরা নিজেরাই ওই বাড়ি তৈরি করে দেব বলেছিলাম। সেই কথা রাখার কাজ শুরু হল। আমরা কথা রাখতে জানি।”
বস্তুত, সবার আগে প্রকল্প আপডেট এ লেখা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনা (Banglar Awas Yojana) তথা বাংলার বাড়ি (Banglar Bari) খাতে টাকা বড়দিনের আগেই রাজ্যের ১২ লক্ষ পরিবারের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। হচ্ছেও তাই।
ইতিমধ্যেই আবাস প্রকল্পে রাজ্যের ৪৫ লক্ষ ৬৯ হাজার মানুষের পাকা বাড়ি করেছে রাজ্য। বাকি ৪০ লক্ষ বাড়ি বাকি ছিল। এ’দফায় ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা দিচ্ছে রাজ্য। বাকি ২৮ লক্ষও যে আগামী বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এদিন তা স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আজকে একটা ঐতিহাসিক দিন। রাজ্য সরকার তার নিজের ক্ষমতায় সম্পূর্ণ নিজের টাকায় এই বাড়ি করে দিচ্ছে।”
প্রথম কিস্তিতে ১২ লক্ষ পরিবার ৬০ হাজার টাকা পাবেন। এজন্য রাজ্যের ব্যয় হবে মোট ১৪,৭৭৩ কোটি টাকা। এদিন থেকেই সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ওই টাকা।
সম্প্রতি আবাসের তালিকা তৈরি নিয়ে বিস্তর গরমিলের অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই নবান্নের বৈঠক থেকে ফেরদফায় তালিকা রি-চেক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তালিকা তৈরিতে স্বচ্ছতা বজায়ের জন্য যে সব ধরণের পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানিয়ে এদিন মমতা বলেন, “২৭ হাজারের বেশি টিম ৩৫ লক্ষের বেশি বাড়িতে গিয়েছে। স্বচ্ছভাবে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ২৮ লক্ষের বেশি যোগ্য ব্যক্তিকে আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি। আIজকে ১২ লক্ষ দেওয়া হচ্ছে।”
বস্তুত, বাংলার আবাস প্রকল্পে এ দফায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা ছিল রাজ্যের। এরই মধ্যে সাইক্লোন বা ঝড় বৃষ্টিতেও অনেকের বাড়ি ঘর ভেঙে গিয়েছিল। ফলে পুনরায় আবার সার্ভে করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, “প্রাথমিকভাবে ১১ লক্ষ ছিল। কিন্তু যাদের বাড়ি ভেঙেছে তাদেরকেও আমরা এই তালিকায় নিয়েছি। ফলে মোট তালিকা হয়েছে ১২ লক্ষ।”
বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্যর পরিমাণ ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রের তরফ থেকে ৬৯টি টিম পাঠিয়ে বারে বারে সার্ভে করা হলেও বাংলার সঙ্গে যে বঞ্চনা করা হয়েছে, তাও এদিন ফের স্পষ্ট করেছেন মমতা। এও বলেছেন,”আমরা ভিক্ষে চাই না, ন্যায্য অধিকার চাই।”
প্রত্যেকের আবাস যোজনার টাকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ঢুকবে যাদের ঢোকেনি তারা দুই এক দিনের মধ্যেই ব্যাংকে টাকা পেয়ে যাবে।