Awas Yojana: আবাসের টাকা নিয়ে বড় ঘোষণা। নির্বাচিত উপভোক্তারা আবাসের টাকা পাবেন। একাধিক পদক্ষেপের পরেই এই টাকা হাতে পাবেন উপভোক্তারা। জেলায় জেলায় এসওপি রাজ্যের। সেইসঙ্গে আবাস তালিকাভুক্তদের টাকা দিতে এবার “সুরক্ষা বলয়‘ রাজ্যের।
আবাসের টাকা নিয়ে বড় ঘোষণা। নির্বাচিত উপভোক্তারা আবাসের টাকা পাবেন। একাধিক পদক্ষেপের পরেই এই টাকা হাতে পাবেন উপভোক্তারা। জেলায় জেলায় এসওপি রাজ্যের। সেইসঙ্গে আবাস তালিকাভুক্তদের টাকা দিতে এবার “সুরক্ষা বলয়’ রাজ্যের।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত দফতরের পোর্টাল থেকেই এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে তার এলাকায় কবে বিডিও, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের নিয়ে অ্যাকাউন্ট ভ্যালিডেট করতে ক্যাম্প খোলা হবে। এই ক্যাম্প গুলিতেই নির্বাচিত প্রত্যেক উপভোক্তা তাদের নাম, ব্যাঙ্কের সমস্ত তথ্য যাচাই করে সম্মতি দেবে। দিতে হবে আধার নাম্বার। ক্যাম্পেই গোটা বিষয়টি উপভোক্তার আধার নম্বরের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করা হবে।
উপভোক্তা যে মোবাইলের সঙ্গে আধার সংযোগ রয়েছে সেই মোবাইল দিয়ে পোর্টালে ওটিপি মারফত এই সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া হবে। যদি শুধুমাত্র অ্যাপ দিয়ে এই সংযুক্তিকরন হয় তাহলে এই সংযুক্তি করনের জন্য বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা করা হবে। এই পদক্ষেপ গুলির পরেই আবাস উপভোক্তা চূড়ান্ত তালিকায় ঠাই পাবে। মিলবে প্রকল্পের সুবিধা। জেলায় জেলায় এসওপি দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য।
পাশাপাশি, আবাসের টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে সুরক্ষার দিকেও বিশেষ নজর প্রশাসনের। ছাত্র ছাত্রীদের ট্যাবের টাকা গায়েবের ঘটনার পরেই আরও সতর্ক রাজ্য। আবাস তালিকাভুক্তদের টাকা দিতে এবার “সুরক্ষা বলয়’ রাজ্যের। সাইবার প্রতারকের যাতে শিকার না হতে হয় তার জন্য নিজস্ব পোর্টালই তৈরি করল পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতর।
চিঠি দিয়ে নয়, এই পোর্টাল থেকেই সরাসরি এসএমএস করে উপভোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচিত হওয়ার কথা। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট ভ্যালিডেশন করতে খোলা হবে গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে ধরে ক্যাম্প। প্রসঙ্গত ১৫ই ডিসেম্বরের পর থেকেই নির্বাচিত উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে রাজ্য।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের নির্দিষ্ট পোর্টালটি কাজ করছে না বলে অভিযোগ। ফলে বাংলা আবাস যোজনা উপভোক্তাদের রেজিস্ট্রেশন এবং আধার-ভিত্তিক যাচইকরণ বন্ধ। গত সোমবার থেকে কাজ শুরুর কথা ছিল, কিন্তু ওই দিন থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবারও তা ঠিক হয়নি। দিন দুই দিন ধরে হুগলি জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতগুলিতে উপভোক্তাদের ডাকা হলেও তাঁদের নিবন্ধন এবং আধার-ভিত্তিক যাচাইকরণ ছাড়াই ফিরে যেতে হয়। তার জেরে বিক্ষিপ্ত ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় কর্মী এবং আধিকারিকদের। এ দিন সকালে রাজ্যস্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পোর্টাল ‘আপগ্রেড’ করা হবে বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর নাগাদ সক্রিয় হবে।
এই পরিস্থিতিতেসার্বিক কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেল বলে জানিয়েছেন।বাংলা আবাসে সমীক্ষার কাজ শেষ হয় ২৭ নভেম্বর। ওই দিন থেকেই ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্য’দের তালিকা ঝোলানোহয়। সেই তালিকায় আরও অযোগ্য থাকলে বা যোগ্য কেউ বাদ গেলকিনা তা নিয়ে ৪-৫ ডিসেম্বর গ্রামসভা ডেকে প্রকৃত যোগ্যদের অনুমোদনকরা হয়। ৯ ডিসেম্বর ব্লকস্তরের চার জনের কমিটি তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত অনুমোদন দিবে জেলাস্তর থেকে।
বিডিওর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত হুগলি জেলা পরিষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন সরকারি নির্ঘণ্ট অনুয়ায়ী, ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাসে অনুমোদিত যোগ্য উপভোক্তাদের রেজিস্ট্রেশন এবং আধার-ভিত্তিক তথ্য যাচাইকরণের কাজ করতে হবে। সেই মতো তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়া হবে ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে।
অন্যদিকে আবার ইতিমধ্যেই গত ১৩ তারিখ থেকে যোগ্য উপভোক্তাদের যাচাই করণের কাজ তথা রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসে। সময় মত যাতে প্রত্যেক যোগ্য ব্যক্তিদের এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যায়, তাই এই ১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন এক ব্লক দপ্তরের আধিকারিক।