বাংলা শস্য বীমা যোজনার টাকা ঢুকলো। যারা পাননি কবে পাবেন?
বাংলা শস্য বীমা যোজনায় ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। সূত্র মারফত এক আধিকারিক দ্বারা জানা যায় যাদের সত্যিকারের ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাদের দেওয়া হচ্ছে এই টাকা।
বাংলা শস্য বীমা যোজনায় যাদের সাধারণত ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং বীমা করা থাকে তাদের সরকার আর্থিকভাবে ফসলের ক্ষতিপূরণের এই টাকা প্রদান করে থাকেন।
সম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের ফলে অনেক কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে । এজন্যই পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ ডিসেম্বর এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন যে সমস্ত কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাদের এই ডিসেম্বর মাসেই ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। সেই কথা মতই কৃষকদের স্ট্যাটাসে পরিবর্তন আসে এবং সূত্র জানা যায় ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
তবে টাকা দেওয়া শুরু হলে ও এখনও পর্যন্ত সমস্ত কৃষক টাকা পাননি। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে যাদের এখনো টাকা ঢোকেনি তারা কবে টাকা পাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী যদি বলেছেন এই ডিসেম্বরে টাকা দেওয়া হবে সেক্ষেত্রে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপনাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। আশা করা যাচ্ছে এর মধ্যেই আপনাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ফসলের যে পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে সে পরিমাণ টাকা ক্রেডিট হবে।
👉কীভাবে জানবেন আপনি ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন?
কৃষকরা বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ক্ষতিপূরণের স্টেটাস চেক করতে পারবেন। নিচে বিস্তারিত পদ্ধতি দেওয়া হলো:
১. প্রথম ধাপ: এখানে ক্লিক করুন Click here
২. দ্বিতীয় ধাপ: Farmer Id অপশনটি সিলেক্ট করুন
৩. তৃতীয় ধাপ: যেই কৃষক স্ট্যাটাস চেক করতে চাইছেন সেই কৃষক ভোটার কার্ডের নাম্বার ফার্মার আইডির ( FARMER ID) ঘরে বসিয়ে সার্চ করলেই স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন
bangla shasya bima status check
স্টেটাস কী দেখাবে?
১. Claim Details: যদি এই ঘরে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেখানো হয়, তবে সেই টাকা খুব শীঘ্রই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।
২. Claims Under Process: এই স্টেটাস দেখালে বুঝতে হবে, ক্ষতিপূরণের টাকা এখন প্রক্রিয়াধীন। কয়েকদিনের মধ্যেই টাকা জমা পড়বে।
৩. Claim Not Reported Yet: এই মেসেজ দেখালে বুঝতে হবে, আপনার আবেদন গ্রহণ করা হয়নি এখন অথবা আপনি ক্ষতিপূরণের যোগ্য নন।
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করতে বড় ভূমিকা পালন করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আর্থিক সহায়তা পেয়ে তাঁদেরভ বিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে পারছেন।